কার্বন নিঃসরণ ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক উদ্বেগের: সাবের হোসেন চৌধুরী

ইস্রাফিল হাওলাদার, দুবাই থেকে

বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কপ-২১ অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রগুলো এখনো যেভাবে কার্বন নিঃসরণ করছে তা ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক উদ্বেগের। যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে আগামীতে ১.৫ ডিগ্রির বদলে ৩ ডিগ্রি হয়ে যাবে। তাই এখনই অঙ্গিকারবদ্ধ রাষ্ট্রগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নে ‘ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স টু নেচার বেইজ সলিউশন এন্ড টেকনোলজি ট্রান্সফার’ বিষয় আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> কপ ২৮-এ প্রথমবারের মতো উন্মোচিত হলো ধর্মীয় প্যাভিলিয়ন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডান্ডি বিশ^বিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ড. নন্দন মুখার্জী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের দাতাসংস্থার কর্মকর্তাসহ দেশ বিদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রকৌশলী ও স্থপতিদের প্রান্তিক মানুষের সংযোগ নেই। তাই এই সংযোগ বাড়িয়ে তাদের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের স্থাপনাগুলো তৈরি করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজনের ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের ভূউপরি ভাগের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের কারণে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেছে। যা উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে, পরিবেশ ও প্রকৃতিরও ক্ষতি করছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু সুরক্ষার অঙ্গিকারগুলো মাথায় রেখে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করছে তা পরিবেশ বিবেচনা নিয়েই করছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও চাহিদা বিবেচনায় রেখে আগামীতেও সরকার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। ভবিষ্যতের নিরাপদ পৃথিবীর জন্য এটা আমাদের করতেই হবে। জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সরকার ও এনজিও যৌথভাবে সমিন্বত কাজের ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। এরপরে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে জনগণের সুবিধা বৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব চুলার মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর বিষয়ে আরো দুটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ইবাংলা/এসআরএস

সাবের হোসেন চৌধুরী