নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘হাল্ট প্রাইজ’ প্রতিযোগিতা৷
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের ‘নোবেল পুরস্কার’ খ্যাত আন্তর্জাতিক বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা ‘হাল্ট প্রাইজ’ এর ক্যাম্পাস পর্যায়ের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম।
পঞ্চমবারের মতো শুরু হওয়া এই অন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার রেজিষ্ট্রেশন চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যে সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে টিম রেজিস্ট্রেশন লিংকটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> মালয়েশিয়ায় ১৭১ বাংলাদেশি আটক
এ বছর অফলাইনে রেজিষ্ট্রেশন বুথ বসানোর কথা থাকলেও শীতের ছুটির কারণে অনেক ডিপার্টমেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবারের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুধুমাত্র অনলাইনে চলবে। এবারের হাল্ট প্রাইজে কোনো রেজিষ্ট্রেশন ফি নেই।
আন্তর্জাতিক এই প্লাটফর্মে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সার্টিফিকেট এবং স্পেশাল মেন্টরদের দ্বারা গ্রুমিং সেশন, যার মাধ্যমে তারা তাদের বিজনেস আইডিয়াকে নিয়ে যেতে পারবে অনন্য উচ্চতায়।
দলগতভাবে প্রতিযোগীরা নিবন্ধন করে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রথমবারের মতো এবার কোন নির্ধারিত থিম থাকছে না।
যেকোনো এসডিজি গোলের সাথে সমন্বয় করেই যেকোনো টিম বিজনেস আইডিয়া জেনারেট করতে পারবে। এবারের হাল্ট প্রাইজের মূল প্রতিপাদ্য ‘আনলিমিটেড’ অর্থাৎ এসডিজির (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) ১৭টি লক্ষের সমন্বয়ে যেকোন একটি অথবা একাধিক লক্ষমাত্রা মেনে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে বিজনেস আইডিয়া প্রেজেন্ট করতে হবে।
অন-ক্যাম্পাস প্রোগামে তিনটি রাউন্ডের মধ্যে আইডিয়া সাবমিশন রাউন্ড, সেমি ফাইনাল: প্রেজেন্টেশন স্লাইড ব্যবহার করে উপস্থাপনা ও ফাইনাল: স্লাইড ব্যবহার করে উপস্থাপনার জন্য দল গঠনের ক্ষেত্রে একটি দলে ৩/৫ জন সদস্য হতে হবে। নোবিপ্রবির যেকোনো ডিপার্টমেন্টের বর্তমান শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে। ৫ সদস্য নিয়ে গঠিত দলের ক্ষেত্রে চাইলে ৫ম তম সদস্য হিসেবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দলের জন্য রয়েছে পুরষ্কার এবং অংশগ্রহণকারী সবার জন্য রয়েছে সার্টিফিকেট ও বিশিষ্ট মেন্টরদের সাথে গ্রুমিং সেশন।
হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতাটি চারটি ধাপে হয়ে থাকে। অন ক্যাম্পাস রাউন্ড, রিজিওনাল সামিট, গ্লোবাল একসিলারেটর এবং গ্লোবাল ফাইনাল।
অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দলকে পরবর্তীতে রিজিওনাল সামিটে এবং সেখানে বিজয়ী দলগুলো সুযোগ পাবে গ্লোবাল সামিটে অংশগ্রহণ করার, যেখানে তারা ১ মাসব্যাপী পৃথিবীর বড় বড় এন্ট্রোপ্রোনারদের সাথে কাজ করবে। গ্লোবাল ফাইনালে চূড়ান্ত বিজয়ী দলটি তাদের বিজনেস আইডিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য পাবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সংগঠনটির ২৩-২৪ সেশনের ডিরেক্টর তাবিব ইবনে হুদা বলেন, “বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের এই প্রোগ্রামটি পরিচালনা করার চেষ্টা করছি। গতবছর এই প্রতিযোগীতাটি সম্পন্ন না হওয়ায় অনেকের কাছেই হাল্ট প্রাইজ বিষয়টি নতুন। তবে এই বছর আমরা দূঢ়-প্রকল্প যে আমরা এইবার হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগীতাটি সম্পন্ন করবো। এই প্রতিযোগিতা টি একটি বিশেষ প্লাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের বিজনেস আইডিয়ার মাধ্যমে সমাজের যেকোনো একটি সমস্যাকে সলভ করার চেষ্টা করে। আমরা অংশগ্রহণকারীদের কথা চিন্তা করে রেখেছি বেশ কিছু গ্রুমিং সেশন এবং একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে নিজেদের তুলে ধরার সুযোগ”
অন-ক্যাম্পাস রাউন্ডটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়টিতে অনুষ্টিত হবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হাল্ট প্রাইজ’ বিশ্বের বৃহত্তম বিজনেস আইডিয়া কম্পিটিশন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ১২১ টি দেশের প্রায় ১৫০০ ক্যাম্পাসে একযোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ইবাংলা/এসআরএস