দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ঘিরে বিএনপির দেয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আজ সোমবার সকালে শেষ হয়েছে। তবে ভোটের পরেও দলটির আন্দোলন-কর্মসূচি চলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভোটের পর দলটি সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবি জোরদার করার লক্ষ্য ঠিক করেছে। তাই আন্দোলনে বিরতি না দিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দলটি নতুন কর্মসূচি শুরু করবে।
আরও পড়ুন>> কম ভোটারের উপস্থিতিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সরকারের পতন এবং দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা একমত হয়েছেন যে এবার আন্দোলন-কর্মসূচিতে বিরতি দেওয়া যাবে না। তবে ভোটের পর নতুন প্রেক্ষাপটে কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে, সেটি এখনো ঠিক হয়নি।
গত দুই দিনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নীতিনির্ধারণী নেতারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা পরবর্তী আন্দোলনের ধরন নিয়েও ভাবছেন।
বিএনপির দাবি, দলটির হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৭ হাজার নেতা-কর্মী কারাবন্দী। এর সঙ্গে আছে আদালতের দণ্ড। ইতোমধ্যে ৮৪টি মামলায় ১ হাজার ২৯৪ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সামনের কর্মসূচিতে সরকার পতনের ‘এক দফা’র সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিবসহ হাজার হাজার কারাবন্দী নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি সামনে আসবে। কর্মসূচিতে সরকার পতনের লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও থাকবে। তবে দলগুলোর নেতাদের অনেকে পরবর্তী আন্দোলন-কর্মসূচির কৌশল নিয়ে ভাবছেন।
আন্দোলনের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর বিরোধী দলগুলো ভোটের পর কী করবে, এমন প্রশ্ন এখন মুখে মুখে। এ বিষয়ে গত রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, সাত তারিখপার হওয়ার পরেও এই কর্মসূচি থামবে না। এই সরকারকে ‘না’ বলেন।
ইবাংলা/এসআরএস