ঢাকা-৪ আসনের নির্বাচনের ফল হাইকোর্টে স্থগিত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আওলাদ হোসেনের কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। এখন সেই ফলাফল হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে গেছে।

সানজিদা খানমের রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন।

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন মোট ভোট পান ২৪ হাজার ৭৭৫টি। সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পান ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙল প্রতীক নিয়ে পান ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।

ঢাকা-৪ আসনটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন শ্যামপুর থানা ও যাত্রাবাড়ীর আংশিক নিয়ে গঠিত।

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন হয়। নির্বাচন হয় ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন।

২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন, এছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছেন ৩টি আসন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়।

আরও পড়ুন>> রাউজানের একই গ্রাম থেকে তিনজন এমপি নির্বাচিত 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর ভারত, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভূটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, নেপাল, মরক্কো, ব্রাজিলের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। শেখ হাসিনাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অবশ্য ভিন্ন পথে হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও ভাষ্য ওয়াশিংটনের। আর নির্বাচনে সব দল অংশ না নেয়ায় মানুষের ভোট দেয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলে অভিমত যুক্তরাজ্যের।

দেশটি বলছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড যথাযথভাবে মানা হয়নি। এছাড়া নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি বলে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য।

ইবাংলা/এসআরএস