পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় একটি স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ওই খনিটি ছিল অবৈধ। মূলত বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও একদল লোক সেখানে খনন শুরু করলে ভূমিধস ও প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। গত শনিবার দেশটির সিমিউ অঞ্চলের বারিয়াদি জেলার এনগালিতা খনিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাইমন সিমালেঙ্গা।
আরও পড়ুন…মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেছেন, একদল লোক এমন একটি এলাকায় খনন শুরু করে যেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খননের মতো কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ ছিল। প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান ভূমিধস ও প্রাণহানির খবরে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘নিহত এই তানজানিয়ানরা ওই এলাকার ছোট খনির শ্রমিক ছিল। তারা সেখানে নিজেদের পরিবারের জন্য জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করেছিল।
’জেলা প্রশাসক সাইমন সিমালেঙ্গা বলেছেন, ভূমিধসের পর তাকে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল যে, ১৯ থেকে ২০ জন খনিতে আটকা পড়েছে, কিন্তু পরে ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন…পাকিস্তানকে হারাল নিউজিল্যান্ড
এই অঞ্চলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ফাউস্টিন এমটিটুর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি বলেছে, অনুসন্ধান শেষ করা হয়েছে। ‘ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কোনও মরদেহ আটকে নেই’ বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
সিমালেঙ্গা বলেন, সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘোষণা করার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে খনিজসমৃদ্ধ ওই এলাকায় খনন শুরু করেছিল স্থানীয় কয়েকজন লোক।
তবে চলমান ভারী বৃষ্টির কারণে এলাকাটিতে কোনও ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার ব্যাপারে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ভারী বৃষ্টির ফলে সেখানে আকস্মিক বন্যাও হয়েছে।
উল্লেখ্য, তানজানিয়ায় অনিয়ন্ত্রিত এবং অবৈধ উপায়ে খনিতে খনন বেশ সাধারণ ঘটনা। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ।