পাঁচ চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে চলমান অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের কৌশলকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ড. হাবিব।
মুদ্রানীতিতে পাঁচটি নিকট-মেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো- মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দামের গতিশীলতা। আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে হ্রাস করা। বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। অপারফর্মিং ঋণের স্থায়ী সমস্যা।
আরও পড়ুন>> ৪ দিনের মধ্যে চালের দাম না কমালে আইনি ব্যবস্থা
এবারের মুদ্রানীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে মুদ্রানীতি তৈরি করা হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। তবে বছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গভর্নর বলেন, এবারের মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি প্রশমন করা। মুদ্রানীতির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। এতে মূল্যস্ফীতি কমতে সময় লেগেছে। তবে নভেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে।
নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, এখন থেকে এ হার হবে ৮ শতাংশ। এছাড়া বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৮ শতাংশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মুদ্রানীতি এটা। এর আগে গত জুলাইয়ে প্রথম দফা মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ইবাংলা/এসআরএস