সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নিয়ে সামান্যতম অস্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগ সরকার।’
আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক আরও ভালো করার জন্য আমরা যথেষ্ট ধৈর্যশীল। আর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক পন্থায় অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল। এখন যে নেই, সেটা বলা যায় না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন নির্বাচিত সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন সম্ভব। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেও নির্বাচন ভোটারশূন্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হয়নি।’
বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য। তাদের প্রতি নতুন করে আমাদের আর কোনো আহ্বান নেই। তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুক, এটাই চাই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের সমস্যা নিয়েই এখন শেখ হাসিনা সরকারের সব ভাবনা। পেছনে ফেলে যাওয়া সংকট নিয়ে সময়ক্ষেপণ করার মতো সময় আমাদের নেই। দায়িত্বশীল পদে যারা রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা।