প্রতারণার শিকার হয়ে ডিবি অফিসে দীঘি

অনলাইনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। খুইয়েছেন মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

ডিবি অফিস থেকে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি প্রতারকচক্র দীঘির বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ডিবি অফিসে অভিযোগ জানান দীঘি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। এরইমধ্যে প্রতারণায় জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন >>  নতুন সরকারের প্রথম একনেক বৈঠক মঙ্গলবার

এদিকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ডিবি কার্যালয়ে যান দীঘি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, বিকাশের নির্দিষ্ট নম্বর থেকে একটি কল আসে। আমার বিকাশ নম্বর বন্ধ করে দেয়ার কথা বলে। আমার অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা ছিল। তাই আমি ওই কলে অনেকক্ষণ ধরেই কথা বলি। এক সময় কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস সাজা প্রতারকরা আমার ওটিপি নম্বর চায়। আমি ভেবেছিলাম, পিন নম্বর না দিলে সে আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না। তাই ওটিপি নাম্বার দেই।

এরপর তিনি বলেন, আমি শুটিংয়ের কাজে ও স্ক্রিপ্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই মাথা তেমন কাজ করেনি। এরপর দেখি অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি মানে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেই। প্রতারকরা আমার পরিচয় জানত। আমার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেছে যে, আমি প্রতারকদের বিকাশের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারই ভেবেছিলাম। কারণ এতদিন যে নাম্বার থেকে বিকাশের মেসেজ পেতাম, সে নাম্বার থেকেই ভুয়া মেসেজগুলো পাচ্ছিলাম।

১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রতারণার শিকার হওয়ার পরদিন ১১ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশ প্রধান হারুন-অর রশিদের কাছে অভিযোগ জানান দীঘি। অভিযোগ করার ১ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত পাওয়ায় ডিবি পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের বিকাশ প্রতারকদের কাছ থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শও দেন।

ইবাংলা/এসআরএস