জামিন মিলল ফখরুল ও খসরুর, মুক্তিতে বাধা নেই

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের নামে ১১টি ও আমীর খসরু নামে ১০টির মামলার মধ্যে সবকটিতেই জামিন হওয়ায়, কারাগার থেকে মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকল না তাদের।
 
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে আবারও তারা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে এ জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন আদালত। আজ তারা জামিন পেলেন।
 
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানায় করা এক মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
এর আগে, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে এ জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। এ মামলার নথি মহানগরে সিআরমিস শুনানির জন্য থাকায় বিচারক মামলার নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদেশ দেন।
 
গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়। এরমধ্যে ১০ মামলায় তিনি জামিন পান।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য নিহত হন। আহত হন পুলিশের একাধিক সদস্য, এছাড়াও ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
 
এ ঘটনার পর গত বছরের ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
এদিকে গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
 
গ্রেফতারের পর মির্জা ফখরুল বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়।