স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পণ্য পরিবহনের সময় চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। এ ব্যাপারে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের নেতারা দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন >> চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিল্প বাঁচলে দেশের অর্থনীতি বাঁচবে। আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের পণ্য বাজারও নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শিল্পগুলোর অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। আমরা চাই—দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাক, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাক।’
অপরাধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সব ধরনের অপরাধ বন্ধে আমরা বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ যাতে নিরাপদে এবং শান্তিতে থাকতে পারে—সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যের মূদ্রাস্ফীতি সব থেকে বেশি। এর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা আদায়। পণ্য পরিবহনের চাঁদা বন্ধ করা গেলে পণ্য মূল্য অনেকটাই কমে আসবে। পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা দরকার।
ব্যবসায়ী নেতারা আরো বলেন, মূদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতি গ্রহন করতে হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারনে ডলারের কারেন্ট একাইন্ট পজেটিভ হয়েছে যা আশাব্যাঞ্জক এবং আর্থিক হিসাবও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পজেটিভ হয়ে যাবে।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, দেশের শিল্প খাত বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছে। দেশে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান তার ৬০-৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে, উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারনে সব প্রতিষ্ঠানের সেলস ড্রপ করেছে, গ্যাসের প্রেসার কম, ঋনের উচ্চ সূদ হার আবার ব্যাংক সমূহ প্রপার সাপোর্ট দিতে পারছে না। সবকিছু মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশীয় শিল্প।
তিনি বলেন, আমরা দেশের এই সকল সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে বসেছিলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সম্পর্কে জানতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এখন প্রধান লক্ষ্য মূদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ নিয়ে আসা। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকের ঋনের সূদ হার একটা নিদৃষ্ট পর্যায়ে রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পলিসির কারনে ব্যাংক সমূহ বন্ডে বিনিয়োগের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না সাথে সাথে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। আমাদের এখন বর্তমান শিল্প সমূহকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
সভায় বিসিআই এর উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পবিচালকবর্গ, শহীদুল ইসলাম নীরু, ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, আবুল কালাম ভুঁইয়া, জিয়া হায়দার মিঠু, মিজানুর রহমান, রুসলান নাসির, নাজমুল আনোয়ার, সোহানা রউফ চৌধুরী, মো: সেলিম জাহান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ( রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) এ কে এম টিপু সুলতান উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/এসআরএস