মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগির রাত শবেবরাতের আগে অস্থির হয়ে উঠেছে গরুর মাংসের বাজার। ক্রেতাদের এক প্রকার জিম্মি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শবেবরাত উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারগুলোতে বাড়ানো হয়েছে গরুর মাংসের দাম। দুদিন আগে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও রোববার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে হঠাৎ গত দু-তিনদিন গরুর দাম বেড়েছে। আবার মাংসের চাহিদাও বেশি। সব মিলিয়ে দাম কিছুটা বেড়েছে। সন্ধ্যার দিকে বিক্রি বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে। আর সামনে যেহেতু রোজা তাই দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকার মাংস ব্যবসায়ী সায়েম হাওলাদার বলেন, গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজি মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আমার এখানে তা–ও একটু কম; অনেকে তো ৮০০ টাকায় মাংস বিক্রি করছে। এমন না যে আমি খারাপ মানের মাংস দিচ্ছি। এটা আসলে গরু কেনার ওপর নির্ভর করে। বড় গরুর মাংস একটু কম দামে বিক্রি করে যায়।
এদিন বাড্ডা এলাকার বউবাজার রাস্তার ওপর অন্তত তিন জায়গায় মাংস বিক্রি করতে গেছে। সেখানে ৭৯০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, সকালে গরু জবাই করেছি, ফ্রেশ মাংস। ভালো খেতে চাইলে ভালো দাম দিতে হবে।
এদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। আর ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।
রিয়াজুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মগবাজারে। মালিবাগ রেলগেট বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, এভাবে আর চলে না। রমজান আসতে না আসতেই সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমরা যারা সীমিত আয়ের লোক, আমরা যাব কোথায়। আমাদের তো আর আয় বাড়েনি। সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটর করতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে।
বাংলাদেশে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তজা বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঝারি আকারের গরুর দাম ১৫ হাজার টাকার মতো বেড়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। কেউ ৭৫০ টাকা, কেউবা ৮০০ টাকায় মাংস বিক্রি করছেন। বিষয়টি নির্ভর করছে গরুর দামের ওপর। গরুর দাম কমলে মাংসের দামও কমে আসবে।