সারাদেশে আগামী শনিবার (৯ মার্চ) লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেছে দলটি।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
রিজভী বলেন, ‘ডামি সরকার মানুষের জরুরি সেবা বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানি এবং সুপেয় পানির সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। এগুলো আজ সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে চরম নৈরাজ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণে চরম নির্যাতন, লুটপাট করা অর্থবিত্ত, আইনশৃঙ্খলার নামে মানুষের স্বাধীনতা হরণ, অত্যাচার, চক্রান্ত, খুন ও সন্ত্রাস এদের কলঙ্কের তীব্রতা এতটা বেশি যে, কোনোভাবে ছাইচাপা আগুনের মতো লুকোতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করে লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে রোড-শো করেছিল জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য। কিন্তু এ খাতে তারা বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পারেনি। এরা বিদ্যুৎ খাতকে লোপাট করে আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে ইনডেমনিটি আইন তৈরি করেছে। গত ১৪ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৩০ শতাংশ। ১৩ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, বরই দিয়ে ইফতার করুন, আঙ্গুর-খেজুর লাগবে কেন, তাই? এ ধরনের বক্তব্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য প্রতি এক ধরনের নিষ্ঠুর রসিকতা। খেজুর দিয়ে ইফতার যেমন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে তেমনি মহত অনুভূতিও রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তার এই ধর্মীয় অনুভূতি রোজার মাসে অনুপ্রাণিত করে। এটাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা তামাসা করছেন, উপহাস করছেন,’ যোগ করেন রিজভী।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘চিনির দামও বেড়েছে। শুল্ক কমানোর ঘোষণার পরদিন থেকে দামতো কমেনি উল্টো বেড়েছে। খেজুরের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। ফলে মানুষ আর খেজুর কিনেতে পারছে না। প্রতি কেজিতে খেজুরের দাম ৫০০-৭০০ টাকা বেড়েছে। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। এত বৃদ্ধি পায় কী করে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থাকলে এরকম পরিস্থিতি হতে পারে এটাই স্বাভাবিক।’
ইবাংলা/এসআরএস