গাংনীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মী নারায়ণপুর ও ধলাগ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থী সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পুরো গ্রাম এখন পুরুষশূন্য। ফের হামলার আতঙ্কে নারীরা।
মেহেরপুরের গাংনীর কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণের মাত্র দুদিন বাকি।তবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মী নারায়ণপুর ও ধলাগ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থী সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পুরো গ্রাম এখন পুরুষশূন্য।
এর আগের নির্বাচনেও মেম্বার প্রার্থী টুটলের এক ভাই নিহত হয় সহিসংতায়।এবার তার দুই চাচাতো ভাইয়ের প্রাণ গেলো।গ্রামজুড়ে চলছিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আমেজ।চায়ের দোকান থেকে পাড়া মহল্লা- সব জায়গায় ছিল নির্বাচনের শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি।
তবে সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লক্ষ্মী নারায়ণপুর ধলা গ্রাম। মেম্বার প্রার্থী টুটুল ও আতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দফা দফায় সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত হয়।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ধলা গ্রাম এখন পুরুষশূন্য। ফের হামলার আশঙ্কা আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন অনেকেই। আতঙ্কে গ্রামের নারীরা। গ্রামবাসী জানান, আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটনা ঘটতে পারে। হামলাকারীরা কোন নারী-পুরুষ বাছ-বিচার করেনা। যে কারো ওপর হামলা চালায়।
নিহত দুই ভাইয়ের চাচাতো বোন জানান, ২০১৭ সালের নিবার্চনেও মেম্বার প্রার্থী টুটুলের এক ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই মামলার প্রধান আসামি সাবেক মেম্বার আতিয়ার। আতিয়ারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।
নিহত সাহাদুল ও জাহারুল ইসলামের বোন জানান, এরআগেও আতিয়ারের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আহত মেম্বার টুটুলের স্ত্রী বলেন, আতিয়ারের লোকজন তার স্বামীকে হত্যা চেষ্টা চালায়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না হয়- সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গাংনীরে র্যাব-৬ এর ক্যাম্প কমান্ডার তারেক আমান পান্না বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহিংসতার পর থেকে অভিযানে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব সদস্য। গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
ইবাংলা/আমিনুল/নাঈম/০৯নভেম্বর, ২০২১