ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে বিদেশে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচারকারী একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে এ বিষয়টি জানান সিআইডি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
আরও পড়ুন>> ট্রেনে ঈদযাত্রা ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসের মালিক নাসিম আহমেদ (৬২), এজেন্ট সিমের টেরিটোরি সেলস ম্যানেজার ফজলে রাব্বি সুমন (৩২) ও মো. কামরুজ্জামান (৩৩) এবং জেট রোবোটিক অ্যাপসের বাংলাদেশের প্রতিনিধি জহির উদ্দিন (৩৭) এবং খায়রুল ইসলাম ওরফে পিয়াস (৩৪)।
অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, বিগত কয়েকমাসে জেট রোবোটিক অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে এসেছে বাংলাদেশে। ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে অ্যাপটির সন্ধান পায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বেসড ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ থেকে এ চক্রটির টাকা লেনদেন হতো। বুধবার রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচজনকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে নগদ ২৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। তারা বিকাশের এজেন্ট সিম ভাড়া নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে টাকা পৌঁছে দিতো বলেও জানান তিনি।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এ চক্রের হোতা মামুন দুবাইতে থাকেন। তিনি এখানকার এজেন্ট সিম ব্যবহার করছেন। দুবাই থেকে পাঠানো নির্দিষ্ট লিংক ধরে ৪৮টা সিমের বাইরে পাচারকাজে ব্যবহৃত এই অ্যাপটি কাজ করতে পারে না। সাতজন শুধু এই অ্যাপে ঢুকতে পারবে।
তিনি বলেন, এটা হুন্ডি ব্যবসার আধুনিক রূপ। বাংলাদেশে রেমিটেন্স আসা ব্লক করে দিয়ে এই অ্যাপের মাধ্যমে দেশে টাকা সার্কুলেট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এরকম আরও ৫-৭টি অর্গানাইজেশন পেয়েছেন যারা এভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, গত তিন মাসে ৪০০ কোটি টাকা বাংলাদেশে আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে জেট রোবোটিক অ্যাপসের মাধ্যমে। অভিনব কৌশলে এ অ্যাপস ব্যবহারকারী পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের ডিভাইসগুলো জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান বলেন, চট্টগ্রামের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটস। প্রতিষ্ঠানটির কাছে রয়েছে এক হাজার ১০০ বিকাশ এজেন্ট সিম। এসব এজেন্ট সিমের যাদের পারফর্মেন্স ভালো না, সেসব এজেন্টের সিমগুলো ডিএসওরা নিয়ে জেট রোবোটিক অ্যাপস ব্যবহারকারীদের সরবরাহ করে।
বেতন-বোনাস নিয়ে গোলযোগ হতে পারে এমন কারখানা শনাক্তবেতন-বোনাস নিয়ে গোলযোগ হতে পারে এমন কারখানা শনাক্ত বিটিআরসিকে বাংলাদেশে এই অ্যাপটি বন্ধ করতে বলা হয়েছে এবং এ চক্রে জড়িত সবার বিরুদ্ধেই মামলা হবে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।
ইবাংলা/এসআরএস