রাজা জিগমে খেসার আমন্ত্রণে ভুটান গেলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ভুটানের মহামহিম রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের রাজকীয় আমন্ত্রণে ভুটান গেলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে কুড়িগ্রাম সফরে এসে জিটুজিভিত্তিক প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক।

আরও পড়ুন>> প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার, মানতে হবে যেসব সতর্কতা

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় কুড়িগ্রাম জেলা সদরের ধরলা নদীর পূর্বদিকে মাধবরাম এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ওপর অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ রাজাকে বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাজা ওয়াংচুক সন্তুষ্ট হয়ে এ এলাকায় শিল্প কলকারখানাসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন তিনি। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এম এ আরাফাত, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা হামিদুল হক খন্দকার, বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ভুটানের রাজা প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি দুই দেশের যৌথ সমীক্ষা শেষে দ্রুত এ কাজ শুরু করার কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, ভুটানের রাজা শিগগিরই একটি টেকনিক্যাল টিম কুড়িগ্রামে প্রেরণ করবেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হলে তিনি আবারও এ জেলায় আসার ইচ্ছা পোষণ করেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর, এরপর সড়কপথে কুড়িগ্রামে আসেন তিনি। অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাকে। এরপর ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ভুটানের রাজা।

ইবাংলা/এসআরএস