প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও ভিন্ন ধর্মী ঈদ উপহার বিতরণ করেছে মেঘনা বাংলাদেশ। মেঘনা গ্রুপের কর্ণধার মিজানুর রহমান ভুঁইয়া তার শখের খামারের গরু জবাই করে ঈদের আগেই বোনাসের সাথে সকল কর্মকর্তা কে গরুর মাংস উপহার দিয়ে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় এই বছরেও সকল কর্মীদের মাঝে গরু জবাই দিয়ে কর্মীদের মাঝে বিতরণ করেছে দেশের প্রথম শ্রেণীর এই প্রতিষ্ঠান।
এই বছরের ঈদ উপহার বিতরণের বরাবরের মত সার্বিক তত্ববধানে ছিলেন মেঘনা গ্রূপের চীফ অপারেটিং অফিসার জনাব লুৎফুল বারী, মেঘনা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক-আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের একান্ত সচিব জনাব শহীদুল্লাহ্ শহিদ, মহাব্যবস্থাপক-বিপণন জনাব মোস্তাফিজুর রহমান এবং উপ মহাব্যবস্থাপকদ্বয় জনাব আবু সায়েম ও ইস্রাফিল হোসেন সাজু।
আরও পড়ুনঃ এক পায়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে কলেজে যায় ইয়াছমিন
মেঘনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে। ২০২০ সালের করোনাকালিন সময়ে খবরটি সকলের নজর কাড়ে। শুধুমাত্র সাইকেল দিয়েই মেঘনা গ্রুপের হাত ধরে বাংলাদেশ ইউরোপ জয় করেছে। বাংলাদেশে রপ্তানিতে স্বর্ণ, রৌপ্য, সব মেডেল মেঘনা অর্জন করেছে- কয়েকটি বিভাগে।
অনেকে কর্মকর্তাই স্বত্বাধিকারি মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, তার বড় সন্তান মাহিন ভুঁইয়ার কল্যাণ কামনা-এবং এই পরিবারের সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ঈদ বোনাসে মেঘনা গ্রুপের মিজানুর রহমান তার ফ্রন্টলাইনের নায়কদের সাথে তার আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন।
উনি যাকাত ফান্ড থেকে অনেক কর্মচারীদের মোটা অঙ্কের টাকা সাহায্য করে স্থায়িভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। যা আসল যাকাতের নিয়ম অনুসরণ করে। উৎফুল্ল কর্মকর্তাদের অনেকেই আগ বাড়িয়ে তথ্য জানান তাদের স্বত্বাধিকারি কর্মকর্তা নয়, কর্মচারীদের বেতনভাতা আগে বাড়ীয়ে দিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃএক পায়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে কলেজে যায় ইয়াছমিন
মেঘনা গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। এই গ্রূপের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং (বাইসাইকেল), সিমেন্ট, প্যাকেজিং, টেক্সটাইল ইত্যাদি। মেঘনা গ্রুপ, বাংলাদেশী সফল উদ্যোক্তা আব্দুল খালেক ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৬৫ সালে। পরবর্তীতে তার সুযোগ্য সন্তান জনাব মিজানুর রহমান ভূইয়াঁ গ্রূপের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর গ্রুপ কোম্পানীতে পরিণত হয়।
মেঘনা গ্রুপ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সাইকেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে বিক্রির পাশাপাশি জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অনেক দেশে বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। তারা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারকদের মধ্যে একটি যা ইউরোপের উচ্চ পর্যায়ের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলিতে রপ্তানি করে।
জে ডি সি ৩০/০৩/২০২৪ ইং