রোববার দেশের পথে রওনা হবে এমভি আবদুল্লাহ

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাসের পর নতুন পণ্য ভর্তি করেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল এমভি আবদুল্লাহ। কয়লা খালাস শেষে জাহাজটিতে নতুন পণ্য ভর্তি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে রোববার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। ২৩ নাবিকই জাহাজে দেশে ফিরবেন। মে মাসের মাঝামাঝিতে জাহাজটি দেশে এসে পৌঁছাবে।

এর আগে, জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে দু’জন ফ্লাইটে ও বাকি ২১ জন জাহাজে দেশে ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৩ নাবিকই জাহাজে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার সন্ধ্যায় জাহাজটি আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙর থেকে জেটিতে নেয়া হলে কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল নাবিকদের বরণ করে নেন। তারা জাহাজে উঠে নাবিকদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্যের খবরাখবর নেন।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজ থেকে বোটে নেমে যায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়েলার হক আইনুল, শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে।

এছাড়াও আরো আছেন- লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল, নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ, খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল, ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির, নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম, নেত্রকোনার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন, নাটোরের অর্ডিনারি সীম্যান মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী।