নাবিক বিপ্লব ঘরে ফিরেছেন আনন্দে আত্মহারা স্বজনরা

ফেনীর দাগনভূঞার বাসিন্দা নাবিক ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব।২৩ জন নাবিকের মধ্যে তিনি একজন। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে বিগত চার বছর শিপিং।

কোম্পানিতে চাকরি করে ৭ম বারের সফরে সোমালিয়া জলদস্যুর কবলে পড়েন বিপ্লব।একমাস পরেই বন্দী দশা থেকে মুক্তি পান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে তিনি স্বজনদের কাছে ফিরে আসেন। তাকে পেয়ে পিতা মাতা, দুই ছেলে স্ত্রীসহ সকলে যেন ঈদের আনন্দে মেতে আছেন। তিনি ফেনী শহরের নাজির রোডের ভাড়া বাসায় আছেন পরিবার নিয়ে।

বিপ্লব জানান, তাদেরকে যখন বন্দী করা হয়, তখন রমজান মাস। মুসলমান সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তাদের প্রতি কিছুটা ধর্মীয় সহানুভূতি প্রদর্শন করা হয়েছে। থাকা খাওয়া ঘুমানো সবকিছু বন্দুকের নলের সামনে। আতংকের মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত।

কোন প্রকার শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে মানসিক যন্ত্রণা, কষ্টের সীমা ছিলো না। দিনরাত আল্লাহর ভরসা করে নামাজ রোজার মধ্যে আমাদের নীরব কান্না। মা বাবাসহ সকলের দোয়া ও ভালোবাসা এবং সরকারসহ কোম্পানির সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া, তিনি সুস্থ্যভাবে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে এনেছেন।

এ ছাড়াও কোম্পানিসহ সবার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি দাগনভূঞার মোমারিজপুর গ্রামে গিয়ে সবার সঙ্গে দেখা করে শুকরিয়া আদায় করবেন বলেও জানান নাবিক বিপ্লব।

ইবাংলা বাএ

আনন্দে আত্মহারা স্বজনরা