ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার ২১ মে নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চাটখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের হুমকি, স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অতি-উৎসাহী আচরণ ও জনগণের মাঝে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের কারণে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরী হওয়ায় চাটখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাঁদলেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেড.এম আজাদ খান। সোমবার (২০ মে) বিকালে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এ প্রার্থী।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেড.এম আজাদ খান বলেন, তিনি নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু করার পর থেকে তার নির্বাচনী কর্মিদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নি কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিয় কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি।
দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে থানার ওসি সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। যা তার কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে। ওসি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। যাহা সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশে বাধাঁ সৃষ্টি করবে বলে দাবি করেন তিনি।
আনারস প্রতীকের এই প্রার্থী আরো বলেন, ভোটের আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি, এই সময়ে দোয়াত কলমের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির ও তার লোকজন আমার আনারস প্রতীকের এজেন্ট ও দায়িত্বশীলদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বারণ করছে এবং হামলা- মামলার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া, ভোটারদের মাঝে প্রকাশ্যে কালো টাকা বিতরণ করে প্রভাবিত করছে।
ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান জেডএম আজাদ খান।
সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খানের কর্মী-সমর্থকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্টনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জেলার চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। নোয়াখালী।