হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদায় দিতে ৬৮ দেশের প্রতিনিধিগণ ইরানে গেছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিদেশি এসব গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অভ্যর্থনা জানান ইরানের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোখবার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা। সংকটকালে ইরানের পাশে থাকায় বিদেশি অতিথিদের ধন্যবাদ জানান তারা।
ইরানে আসা উল্লেখযোগ্য বিদেশি প্রতিনিধিরা হলেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদভ, রাশিয়ান ডুমার চেয়ারম্যান ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাইম কাসেম, হুথির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম, আফগানিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গান্দাব ব্র্যান্দার আখুন্দ।
সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুসেইন আরনাস, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাংগুলি বেরদিমুহামেদভ, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস বিন সাইদ, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাবিহ বেরি প্রমুখ।
এর আগে, গত ১৯ মে আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। দীর্ঘসময় অভিযান চালিয়ে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় উদ্ধারকারীরা। এরপর হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী জীবিত নেই বলে নিশ্চিত করা হয়।
হেলিকপ্টারটিতে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন।প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।