অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

রোববার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে এই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ দেওয়া হচ্ছে আগামী ১২ জুনের টিকিট। সকালে বিক্রি করা হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট।

আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে।এবার শতভাগ আগাম টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না।

আগাম টিকিট বিক্রির প্রথমদিনে রোববার দেওয়া হচ্ছে ১২ জুনের টিকিট। পরদিন ৩ জুন দেওয়া হবে ১৩ জুনের, ৪ জুন ১৪ জুনের এবং ৫ জুন বিক্রি হবে ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট। এ ছাড়া শেষ দিনে আগামী ৬ জুন ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।

এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ১০ জুন থেকে। ওইদিন ২০ জুনের আগাম ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১১ জুন ২১ জুনের, ১২ জুন ২২ জুনের, ১৩ জুন ২৩ জুনের এবং ১৪ জুন বিক্রি হবে ২৪ জুনের ফিরতি টিকিট।

যেভাবে কাটবেন টিকিট এবারও বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এজন্য রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। আর যারা আগেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা সরাসরি লগইন করেই টিকিট কাটতে পারবেন।

যাদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা নেই তারা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে উপরের দিকে ‘রেজিস্ট্রেশন’ লেখা অংশে ক্লিক করতে হবে। পরে রেজিস্ট্রেশন নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুলভাবে দিতে হবে। এরপর মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) চলে আসবে।

সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করলেই সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন হয়ে যাবেন। এরপর টিকিট কাটতে পারবেন।

টিকিট কেনার জন্য প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। কেউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন না হয়ে থাকলে ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। এরপর যে পেজ আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, যাত্রা শুরুর স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন শ্রেণি পূরণ করে ‘ফাইন্ড টিকিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পরের পেজে ট্রেনের নাম, সিট খালি আছে নাকি নেই এবং ট্রেন ছাড়ার সময় দেখাবে। সেখান থেকে ট্রেন অনুযায়ী ‘ভিউ সিটস’ বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের আসন নির্বাচন করে ‘কন্টিনিউ পারচেজে’ ক্লিক করতে হবে।

পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলেও টিকিটের একটি কপি চলে যাবে।

পরে ই-মেইলের ইনবক্স থেকে টিকিট প্রিন্ট করে ফটো আইডিসহ ই-টিকিট প্রদত্ত টিকিট প্রিন্ট দিয়ে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার আগে ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। তবে টিকিট প্রিন্ট না করলেও সমস্যা নেই, মোবাইল থেকে দেখালেও হবে।

ইবাংলা বাএ

অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু