প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে কার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত তা বিবেচনা না করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যে দেশগুলো বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে তাদের সঙ্গেই কাজ করবো আমরা।
শেখ হাসিনা বলেন,‘আমার নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। আমার দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদেরকে নিয়ে চলবো। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ সেক্ষেত্রে কে কার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত সেটা দেখার দরকার নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন…ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (০২ জুন) সকালে গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিও চিত্র তৈরী প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এসব একথা বলেন।
শান্তির স্বপক্ষে তাঁর বলিষ্ট অবস্থানের পুনরুল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। আমরা যুদ্ধ চাইনা। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আর সেই বন্ধুত্ব রেখেই আমি এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, কার দেশের সঙ্গে কার দেশের ঝগড়া সেটা আমার দেখার দরকার নেই। আমার নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। আমার দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদেরকে নিয়ে চলবো। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রযোগিদের উদ্দেশ্যে সরকার প্রধান আরো বলেন, সামনে কিন্তু অনেক কাজ। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। আর তোমরাই হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক এবং তোমরাই এদেশকে গড়বে। কারণ তোমরা ইতিহাসটাকে যেভাবে তুলে ধরেছ তাতে সত্যিই আমি চোখের পানি রাখতে পারিনি। তিনি অংশগ্রহণকারিদেরকে অনেক দোয়া ও অভিনন্দন জানিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরকেও ধন্যবাদ জানান।
আমি মনে করি আর এই বাংলাদেশকে কেউই পেছনে টানতে পারবেনা। ১৫ আগষ্টের পর যেভাবে আমাদের ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করা হয়েছিল, আর যেন কেউ এটা করতে না পারে সেজন্য আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন…রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারিদের মধ্যে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও চিত্র নির্মাণ ’আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটা আমি মনে করি আমাদের ছোট্ট শিশুদের ভেতরে একটি আদর্শ জাতির পিতার এবং স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনাটাই গড়ে উঠবে। যাতে তারা লেখাপড়া শিখে এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
ইবাংলা/ বা এ