দেশের স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ (বশেমুরবিপ্রবি) অফিসার্স এসোসিয়েশন মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত করছে।
সোমবার (৩ জুন) সকাল ১১ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর উদ্যেগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে গত ১৩ মার্চ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যাঁরা নতুন যোগ দেবেন, তাঁরা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না।
তার পরিবর্তে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে। মানববন্ধনে সরকারের পেনশন সংক্রান্ত এমন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মনিরুল হাসান বলেন, আশা করি, সরকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির কথা বিবেচনা করবে এবং বৈষম্যমূলক এই স্কিমটি প্রত্যাহার করবে।
এই স্কিমের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই ঐক্যবদ্ধ। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করার কথা বিবেচনা করা হবে।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর মহাসচিব এবং বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এই স্কিমের বিপক্ষে নই যদি এটি শুধুমাত্র সেইসব মানুষের জন্য হতো যারা পেনশন সুবিধার আওতায় ছিল না।
কিন্তু সরকার এটিকে সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য করে তুলেছে, যা বৈষম্যমূলক। কেননা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্বে থেকেই পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত। আমরা আশা করি সরকার আমাদের দাবির গুরুত্ব বিবেচনা করবে এবং জনস্বার্থে পদক্ষেপ নেবে।