কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা দল (ডিএমজি) ও ভারতীয় নৌ সেনাদের সঙ্গে নিয়েই এদিন সিআইডির তদন্তকারী সদস্যরা বিজয়গড় বাজার থানার অন্তর্গত কৃষ্ণমাটি বাগজেলা খাল এলাকায় আসেন।এলাকাশনাক্তকরণের পরেই ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানোর পর এই হাড় উদ্ধার করা হয়।
ইতোমধ্যেই এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) কর্মকর্তারাও সিআইডির তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, বাগজোলা খালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন আকারের বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো মানুষের হাড় বলে মনে করা হচ্ছে।
এমপি খুনের ঘটনায় ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। তাদের একজন সিয়াম অন্যজন জিহাদ হাওলাদার। এর আগে জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকবার ওই খালে অভিযান চালান সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
একপর্যায়ে নৌবাহিনীর সদস্য, ডুবুরি নামিয়ে, জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হলেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসেনি।এরপর আজ মূল অভিযুক্ত সিয়ামকে নিয়ে এসে কিছু পাওয়া যায় কি না সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, এর আগে গ্রেপ্তার হাওয়া জিহাদ যে জায়গার কথা বলেছিলেন, তার থেকে ভিন্ন জায়গার কথা বলেছেন সিয়াম। সেই জায়গাতেই এদিন তল্লাশি চালানো হয়। গ্রেপ্তার সিয়ামের দাবি, এগুলো বাংলাদেশের এমপি আনারের শরীরের হাড়।
শুক্রবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
শনিবার (৮ জুন) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয় সিয়ামকে। আদালত আগামী ১৪ দিনের জন্য তাকে সিআইডি হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য প্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।