পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র এক দিন বাকি। এরইমধ্যে কোরবানির পশু হিসেবে গরু কিনেছেন সামর্থ্যবানরা। তবে যাদের সামর্থ্য একটু কম তারা ছাগল কোরবানি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজধানী ঢাকার পাড়া-মহল্লার অলিতে গলিতেই বসেছে ছাগলের হাট।
শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মোড়ে মোড়ে ছাগলের জটলা। একেকজন বিক্রেতা ৪টা থেকে শুরু করে ২৩টা পর্যন্ত ছাগল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ক্রেতারা দরদামও করছেন।
রাজধানীর বাড্ডা লিংকরোড এলাকায় দেখা যায়, মহাসড়ক সংলগ্ন গরুর মাংসের দোকানগুলোর সামনে বসেছে ছাগলের মেলা। এখানে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকাতেও মিলছে ছাগল। কিনতে আসা একজন নারী ক্রেতা বলেন, ছোট ছাগল অথচ দাম চায় ১২ হাজার। দাম কামাচ্ছেই না।
ওই নারী ক্রেতা আরও বলেন, গরুর হাটে ঘুরে ঘুরে কোরবানির পশু দেখতে অনেক সময় লাগে। হাটে গরু কিনে নিলে পরে কেউ ছাগলের হাটে যেতে চায় না। আবার প্রথমে ছাগল কিনলে পরে গরুর হাটে ছাগল নিয়ে ঘুরাও যায় না।
তাই প্রতিবছরই ছাগল এভাবেই ব্যাপারীদের কাছ থেকে কিনি।ছাগল বিক্রেতা আজমত মিয়া বলেন, গত তিন দিনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ২৮টি ছাগল বিক্রি করেছি। ১২টা বাকি আছে। আশা করছি আজকের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাবে।
কারওয়ান বাজারের হাতিরঝিল সড়কের ফ্লাইওভারের নিচে সারি সারি ছাগল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ব্যাপারীরা। ফ্লাইওভারের নিচ থেকে দামাদামি করে দুটি ছাগল ৩৩ হাজারে কেনেন আশরাফ।
সাথে তার ছেলে। তিনি বলেন, গরু কিনতে আমাদের বাসার লোকজন সকালে আফতাবনগর হাটে গেছে। আসলে প্রতিবছর ছাগল আগে কেনা হয়। এতে বাচ্চারা একটু খুশি হয়, আদর করে। ছাগলকে এটা-সেটা খাওয়ায়। তবে এবার আগে কিনতে পারিনি।
ঈদুল আজহাকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা ঝিনাইদহ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া থেকে সবচেয়ে বেশি ছাগল এনেছেন বলে জানা গেছে।
ছাগল বেচাকেনার এমন দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর মিরপুর, রাজধানীর নতুন বাজার, মালিবাগ, কলাবাগান, শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি খেলার মাঠ, ধানমন্ডি-১৫, সাতমসজিদ রোডসহ বিভিন্ন এলাকায়
এদিকে এবার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে কয়েক লাখ টাকায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ১৮০ কেজি ওজনের একটি ছাগলের ভিডিও। সাদিক এগ্রোর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খামারে থাকা পশুটি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার খাসিটির দাম হাঁকা হয় ১৫ লাখ টাকা।
ছাগলটি দেখতে খামারে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। তবে ইতোমধ্যে তা বিক্রি হয়ে গেছে। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার এক ক্রেতা ১৫ লাখ টাকাতেই কিনে নিয়েছেন ধূসর বাদামি রঙের পশুটি। এটিই বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় খাসি বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।