টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়ার হাতছানি দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। ১২০ বলে ১৭৭ রান করলেই প্রথম শিরোপার স্বাদ পাবে প্রোটিয়ারা।
আইসিসির কোনো ইভেন্টে এই প্রথম ফাইনালে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমার ফাইনালে ওঠা দলটিকে ট্রফি জয়ের ইতিহাস গড়তে হলে আজ ১৭৭ রান করতে হবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের ফাইনালে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভারত। দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সাবেক অধিনায় বিরাট কোহলি।ফাইনালের আগে ৭ ম্যাচে ৭৫ রান করা বিরাট, ট্রফি নিশ্চিত করার ম্যাচে করেছেন ৫৯ বলে ৭৬ রান।
শনিবার ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ইনিংসের প্রথম ওভারে মার্কো জেনসেনের করা ওভারে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৫ রান আদায় করে নেন চলতি বিশ্বকাপে অফ ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কেশভ মহারাজের করা ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তৃতীয় বলে ডট। চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রোহিত।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ। তার বিদায়ে মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ভারত।
রোহিত শর্মা ও ঋষভ পন্থের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তারকা ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব। তার বিদায়ে মাত্র ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারায় ভারত।
এরপর চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। ৩১ বলে এক চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করে ফিরেন অক্ষর প্যাটেল।
এরপর শিবম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। খেলা শেষ হতে বাকি ছিল মাত্র ৭ বল। তার আগে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বিরাট। তার আগে ৫৯ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে ফেরেন কোহলি।
অথচ ফাইনালের আগে বিরাট কোহলি ছিলেন চরম ব্যর্থ। যে কারণে তাকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। অনেকে বাদ দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কিন্তু অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিশ্বাস ছিল ফাইনালে জ্বলে উঠবেন কোহলি। অবশেষে তাই হলো। ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্বমহিমায় জ্বলে উঠলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
শেষ ৮ বলে ভারত হারায় ৩ উইকেট। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন কোহলি। ৪৭ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। ১৬ বলে ২৭ রান করেন শিবম দুবে। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কেশভ মহারাজ ও আনরিচ নর্টজে। একটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জেনসেন।