সাংবাদিকদের নিয়ে লায়লা কানিজের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ডিইউজের

ইবাংলা ডেস্ক

সাংবাদিকদের নিয়ে ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজের উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার এবং হীন বক্তব্যের জন্য তাকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

রোববার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ২০২৪) নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও হীন উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে।’ তার এ হীন বক্তব্য সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং একই সঙ্গে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

আরও পড়ুন…রাজাকার ও বিএনপি পরিবারের সন্তান, দাপট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে

নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ধরনের বক্তব্যর মাধ্যমে ‘শাক দিয়ে মাছ ডাকতে পারবেন না’ লায়লা কানিজ। মতিউর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করবেই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাজে মন্তব্য করে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের বিরত রাখা যাবে না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রকাশ্যে ও ঢালাওভাবে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার ওপর চরম আঘাত করেছে ও সমাজের কাছে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি যে অন্যায় করেছেন তা ক্ষমাহীন।

ডিইউজে মনে করে, কোনো সাংবাদিক যদি তার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেন তাদের নামও প্রকাশ হওয়া উচিত যদি প্রকৃতভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে লায়লা কানিজের উচিত হবে সুনির্দিষ্টভাবে ওই সাংবাদিকদের নাম বলা। ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের কাজ অপরাধের শেকড় খুঁজে বের করা। তার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য ও সত্যে গরমিল থাকলে যে কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেটি নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সাংবাদিকদের সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ইবাংলা/ বা এ

ডিইউজেরপ্রত্যাহারের