বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম আর দাদা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন তুখোড় রাজনীতিক। সিরাজগঞ্জবাসীর কাছে তারা অত্যন্ত সমাদৃত ও সম্মানীয়। তাদেরই যোগ্য উত্তরসূরী সিরাজগঞ্জ-১ (সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর) আসনের বর্তমান এমপি তানভীর শাকিল জয়। সংসদ সদস্য জয়ের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধ সিরাজগঞ্জ-কাজিপুরের তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক বলে ব্যাপক সমাদৃত। এই কাজিপুরেই জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। জাতীয় নেতা মনসুর আলীর সুযোগ্য সন্তান প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম।
বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শের ওপরে ভর করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শানিত হয়ে বাবার পদাঙ্ক হয়ে এই উপমহাদেশের প্রবীন ও জাতীয় নেতার খেতাব লাভ করেন নাসিম।
- প্রয়াত মোহাম্মাদ নাসিম সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহাজোট ১৪ দলের মুখপাত্র ছিলেন। বৈশিষ্টের দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বে কর্মীবান্ধব এক নিবেদিত প্রাণ। ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন নিজ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-১ (সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর) আসনও।
সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের। প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ব্যস্ত সময় কাটালেও সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখতেন নিজ এলাকার মানুষেল সুখ-দুঃখের। সকলের কাছেই ছুটে যেতেন বাধাঁহীন, মনযোগে থাকতেন তাঁর এলাকার মানুষরে নানাবিধ সমস্যার কথা, করতেন সমাধানও। এলাকার মানুষের
তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি রাজনীতির তিন প্রজন্ম খ্যাত প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়কে হাতে ধরে শিখিয়ে গেছেন সাধারণ মানুষদের কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মনসুর পরিবারের সম্মান রক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করতে হবে।
শিখিয়ে গেছেন কিভাবে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুরের আওয়ামী লীগকে একই ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ রেখে দল ও দলের তৃণমূল নেতা কর্মীদের আদর্শের পথে পরিচালিত করতে হবে। কোন পথে হেটে এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টকে দূর করতে হবে।
- জয়ের দাদা মনসুর আলীর আদর্শ আর বাবার দেখানো ও শেখানো পথ ধরেই কাজিপুর বাসির অকুণ্ঠ ভালোবাসা জয় করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সিক্ত হয়ে এক ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন কাজিপুরের আওয়ামী লীগকে।
দাদা ও বাবার মসনদ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন ও কাজিপুর ১২ ইউনিয়ন গঠিত সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন তানভীর শাকিল জয়। সর্বক্ষণ স্বপ্নে বিভোর থাকেন এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে।
১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কাজিপুর উপজেলা। এই উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে যমুনা নদীর চর এলাকায় অবস্থিত। নদীর ভাঙ্গনের কবলিত হয়ে আরো ৪টি ইউনিয়নের অংশবিশেষ চর এলাকায় অবস্থিত। নদী ভাঙ্গনের চরাঞ্চলবাসির দুঃখ-কষ্ট লাগবে এমপি জয় সময় পেলেই ছুটে যান দুর্গম চরাঞ্চলে।
- মনযোগ দিয়ে শোনেন তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা। সমাধানও করেন দ্রুতগতিতে। চারঞ্চলবাসির যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন করার লক্ষে করে দিয়েছেন অসংখ্য পাকা ও কাঁচা সড়ক। প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্কুল-কলেজ মাদ্রাসাসহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সমাপ্ত করছেন বাবা মোহাম্মদ নাসিমের রেখে যাওয়া একাধিক উন্নয়নমূলক কাজকর্ম।
এমপি জয়ের অনুপস্থিতিতে তাঁরই আনুগত্য হয়ে কাজিপুরবাসির সব ধরনের সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নমূলক কাজ সমাধান করেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী।
কাজিপুর উপজেলার ইউনিয়নসমূহ হচ্ছে- সোনামুখী, চালিতাডাঙ্গা, চরগিরিশ, গান্ধাইল, কাজীপুর সদর, খাসরাজবাড়ী, মাইজবাড়ী, মনসুরনগর, নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, শুভগাছা, তেকানী ইউনিয়। এদিকে সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন হচ্ছে- রতনকান্দি, ছোনগাছা, বাগবাটি, বহুলি ও নেত্রা ইউনিয়ন। এই ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের নির্বাচনী এলাকা।
দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় তফসিলে ঘোষিত সদর উপজেলার (সংসদীয় সিরাজগঞ্জ-১ আসনের) পাঁচটি ইউনিয়ন যথা- রতনকান্দি, ছোনগাছা, বাগবাটি, বহুলি ও নেত্রা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। এই পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে ১নং রতনকান্দিতে দলীয় মনোয়ন নৌকা প্রতীকপ্রাপ্ত আনোয়র হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্তিায় নির্বাচিত হয়ে আছেন।
- এছাড়াও বাগবাটি ও ছোনগাছা ইউনিয়ন সরজমিনে ঘুরে ওই এলাকার স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, যাদের দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেতে হাই কমান্ডের কাছে সুপারিশ করেছেন তাঁরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
স্থানীয় একাধিক ভোটার ‘ইবাংলার’ প্রতিবেদকের কাছে আরও বলেন, আমাদের এমপি সাহেব যাদের দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন, তাঁরা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হবেন। এমপি সাহেব যোগ্য ব্যক্তিদেরই দলীয় মনোনয়ন পেতে সুপারিশ করেছেন। এলাকাবাসি আরও বলেন, এই পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে বহুলি ইউনিয়নে একটু সমস্যা রয়েছে।
এই সমস্যার কথা জানতে প্রতিবেদক বহুলি ইউনিয়নে সরজমিনে গেলে সেখানকার সাধারণ ভোটাররা জানান, এখানে নৌকার বিরুদ্ধে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই বলেন, বহুলিতে দলীয় প্রতীক পেয়েছেন মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু আর বিদ্রোহী প্রার্থী একই বংশের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারি তালুকদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে আরও তিনজন।
বিদ্রোহী কেন হলো?- এর খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, মনসুর পরিবারের সন্তান রেজা ও সেহরিন সেলিম রিপন কাজিপুর আওয়ামী বিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী একটি কুচক্রি মহলের সঙ্গে আতাত রেখে বহুদিন ধরেই প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম ও বর্তমান সংসদ জয়ের বিরোধীতা করে আসছেন। লিপ্ত রয়েছেন নানামুখী ষড়যন্ত্রে। তারই ধারাবাহিকতায় বহুলিতে বিদ্রোহী প্রার্থী বারি তালুকদারকে ইন্ধন বা উসকানি দিয়ে আসছে।
কাজিপুরবাসি জানান, এসব ষড়যন্ত্র কোনদিন সফল হবে না। তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তানভীর শাকিল জয় এমপি।
ইবাংলা/ই/জেডআরসি/টিআর/১০ নভেম্বর, ২০২১