সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে কি না– তা নিয়ে পুনর্ভাবনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন।
এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখা এবং কোটা ইস্যুর যৌক্তিক সমাধানের দাবিতে মিছিল শুরু করে ছাত্রলীগ।মিছিল নিয়ে রোকেয়া হল হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন…৭৭ বছরের চুক্তি ভঙ্গ করে ভয়ংকর লেজার অস্ত্র মোতায়েন দক্ষিণ কোরিয়ার
এর আগে দুপুর ২টার পর থেকেই মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে শুরু করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মহানগর উত্তর দক্ষিণের নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মধুর ক্যান্টিন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন…রাস্তা বন্ধ করে ব্লকেড কর্মসূচির করলে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারি ডিএমপির
এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।