কারফিউ পরিস্থিতি শিথিল ও যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। তবে বেড়েছে চাল, মুরগি পেঁয়াজের দাম। তবে আগের মতো চড়া দামেই ভোক্তাদের চাল, মুরগি, পেঁয়াজ ও আলু কিনতে হচ্ছে।
প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩-৮ টাকা। এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে আবার বেড়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, পটোল, পেঁপে, চালকুমড়া, লাউ প্রভৃতি সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে বরবটির দাম ২০ টাকা বেড়ে ৮০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে যে বেগুনের কেজি ছিল ১২০ টাকা, আজ তা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আবার ১৪০ টাকার ওপরে থাকা করলার কেজি কমে হয়েছে ৮০-১০০ টাকা।
ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, পটোল, পেঁপে, চালকুমড়া, লাউ প্রভৃতি সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে বরবটির দাম ২০ টাকা বেড়ে ৮০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
রাজধানীতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকায় ও সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০-২০০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঢাকার বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৮ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা ও ব্রি-২৮ সর্বনিম্ন ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট নামের পরিচিত পলিশ করা চাল ৭০-৮০ ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৯৬ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকায় ও সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিমের দাম ছিল ১৫০ টাকা।
তবে তিন দিন আগেও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২০-৩০ টাকা ও ডিমের ডজন ১০ টাকা কম ছিল। মাছের দাম এখনো চড়া। প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও এখনো মানুষের মনে আতঙ্ক কাটেনি। পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে আগের থমথমে পরিস্থিতির রেশ আছে। বাজারে মানুষ কম আসছে। তাতে বিক্রি কমেছে। তবে পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।