ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা ঢলে দেশের অন্তত ১১ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে বন্যার প্রভাব ঢাকার বাজারে খুব একটা পড়েনি। বাজারে প্রায় সব পণ্যের সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া কমেছে সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সবজির বাজারে অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও
এ অবস্থা বজায় রয়েছে। বাজারে বর্তমানে প্রায় সব সবজির দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।
বাজারে প্রতিকেজি পটল, পেঁপে, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। যদিও এক মাস আগে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া প্রতিকেজি বেগুন, বরবটি, কাঁকরোল, করলা এবং কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। যা আগে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১০০ টাকা দরে।
কিছুটা কমেছে আলুর দামও। প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরের আলু এখন ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার ওপরে ছিল, বর্তমানে পণ্যটি ১৬০ টাকা দরে নেমেছে।
বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ১০ টাকা কমে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে সিন্ডিকেট করেছে।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এখন বাজার তদারকি করছেন। ফলে অনেক জায়গায় এখন চাঁদাবাজি কমেছে। যার সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
আসিফ হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম কমেছে। এ ছাড়া মুরগি ও মাছের দামও কম মনে হচ্ছে। মূলত সিন্ডিকেট ভেঙে যাওয়ায় বাজারে সব পণ্যেরেই দাম কমেছে।
আরেক ক্রেতা সৈকত মোল্লা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এখন বাজার তদারকি করছেন। ফলে কেউ চাঁদাবাজি করার সাহস করছে না। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে কমেছে সব পণ্যের দাম।