আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি হারানো সশস্ত্র বাহিনীর ২৩০ জন কর্মকর্তা চাকরি ফেরত চেয়ে আবেদন করেছেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই–আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং বিপ্লবোত্তর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা।
সেমিনারটির আয়োজন করে রাওয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি ফোরাম (আরআরএসএফ)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোশাররফ, লেফটেন্যান্ট (অব.) আবু রুশদসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন অবসরপ্রাপ্ত শতাধিক কর্মকর্তা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন অধ্যাপক মাহবুবু উল্লাহ, অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান, ডা. জাহেদ উর রহমান।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর অনন্ত ২৩০ জন কর্মকর্তা চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ১৮৫ জন, নৌবাহিনীর ৪৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। কর্মকর্তাদের তালিকা ধরে এই আবেদন ১ সেপ্টেম্বর সেনা সদরের সেন্ট্রাল রেকর্ড অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। একই তালিকা ৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবরও জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তারা এখনো সেনাসদর বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো বার্তা পাননি।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদ থেকে চাকরিচ্যুত হন আনসার আলী রনি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২০১৮ সালে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ব্যক্তিগত একটা কারণে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্তে মূল বিষয়ের বাইরে উঠে আসে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে তাদের পারিবারিক যোগাযোগের বিষয়। পরে কোর্ট মার্শাল করে মূল আলোচনায় না গিয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
প্রেমঘটিত ব্যাপারে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন থেকে চাকরিচ্যুত আমিনুল হক বলেন, তিনি যে অন্যায় করেছেন তা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সেনাবাহিনীর কয়েকজনের ১ কোটি ভাগের এক ভাগ। কিন্তু তাদের কিছুই হয়নি। লঘু পাপে গুরুদণ্ড দিয়ে তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কর্নেল (অব.) মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শান্ত আন্দোলনে সরকার যখন বন্দুক ব্যবহার শুরু করতে থাকে, তখন থেকেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মাঠে নামেন।’
আরো পড়ুন ঃগায়ে শাল জড়িয়ে চুমু খেলেন মোদি
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত এই প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের জনগণের কল্যাণে নানাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সরকার চাইলে তাদের নানা খাতে যোগ করে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।