গৃহবধূকে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিতের প্রতিবাদে বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট

জেল থেকে জামিনে বের হয়েও সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রাণে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খুঁজছে।

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের চুলডগি গ্রামে এক গৃহবধূকে কুরুচিপূর্ণ ইশারা-ইঙ্গিতের প্রতিবাদ করায় ওই গৃহবধূর বাড়ির ৩টি বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট এবং হত্যাচেষ্টাসহ বাড়িঘর ছাড়া করার অভিযোগ ওঠেছে ফারুক, হারুন, রায়হানসহ সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীগ্রুপের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় চুলডগি গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী সাহাব উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম, ছেলে আলা উদ্দিনসহ তাদের আরো দুই শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুনঃ মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যে ‌ফো‌নালাপ
এসময় সাহাব উদ্দিন বলেন, জীবিকা নির্বাহের সুবাদে আমি এবং আমার বড় দুই ছেলে বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাহিরে থাকি। যার কারণে বেশিরভাগ সময় আমার স্ত্রী বাড়িতে একাই থাকেন। এই সুযোগে আমার প্রতিবেশী হারুন, তার ছেলে ফারুক ও রায়হান আমার স্ত্রীকে প্রায় কুরুচিপূর্ণ ইশারা-ইঙ্গিত প্রদান করতে থাকে। এসব বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করায় গত ২৮ আগস্ট দুপুরে হারুন, ফারুক ও রায়হানের নেতৃত্বে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে ৩টি বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমার বসত ঘরের ভিতরে ডুকে ঘরে থাকা নগদ ৫  লাখ টাকা, স্বর্ণলঙ্কার, সিলিং ফ্যান, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং আমাদেরকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির সামনের একটি মুদি দোকানেও হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফাতেমা বেগম বলেন, তারা নিজেরা আমার বাড়িঘর ও দোকানে হামলা-ভাঙচুর, লটপাট করে উল্টো আমার স্বামী-সন্তানকে পুলিশে দিয়ে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে জেল খাটায়। তারা জেল থেকে জামিনে বের হয়েও বাড়িঘরে থাকতে পারছে না। সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রাণে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খুঁজছে।
আরো পড়ুনঃ ১৪ হাজার কোটি টাকা এলো ১৪ দিনে রেমিট্যান্স
সংবাদ সম্মেলন থেকে হামলা ও লুটপাটকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

 ই-বাংলাঃ  গিয়াস উদ্দিন রনি (নোয়াখালী)