খাগড়াছড়ির পাহাড়ি-বাঙ্গালির সংঘর্ষের রেশ পার্বত্য রাঙামাটি শহরেও ছড়িয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কোনো প্রকার আগাম ঘোষণা ছাড়াই কয়েক হাজার পাহাড়ি যুবক বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহরের জিমনেসিয়াম হয়ে প্রধান বানিজ্যিক এলাকা বনরূপা বাজারে এসে মসজিদ, পেট্রোল পাম্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাতে থাকে। এতে করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরজুড়ে।
আরও পড়ুন…পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর
মসজিদ-মার্কেটসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলার ঘটনায় স্থানীয় বাঙ্গালীরা সংগঠিত হয়ে ধাওয়া দিলে পাহাড়িরা পিছু হটে। রাস্তায় চলাচলকারী বাস, ট্রাক ট্যাক্সিতেও হামলা করা হয়। শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে এর দু’দিকে অবস্থান নেন পাহাড়ি ও বাঙালিরা।
পরবর্তীতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী উভয়পক্ষ শহরের বনরূপা, হ্যাপীর মোড়, কালিন্দিপুর, রাজবাড়ি, ষ্ট্রেডিয়াম এলাকা, কল্যাণপুর, ভেদভেদীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে অন্তত ৩০টি যানবাহন ভাংচুরের পাশাপাশি উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করলেও তার নাম-ঠিকানা তাৎক্ষনিকভাবে নিশ্চিত করেননি।
আহতদের মধ্যে বাঙ্গালীদের বেশ কয়েকজনের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়া আহত পাহাড়িরা মারধর ও ধারালোর অস্ত্রের আঘাতের কারনে আহত হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০/১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার।
এদিকে দুপুর দুইটা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান।
রাঙামাটি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটিতে সকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ সেনাবাহিনী বিজিবি কাজ শুরু করেছে।
ইবাংলা/ আইএইচ