চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটিতে এ হামলার পর কড়া বার্তা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এরপর ইরানের পরবর্তী পরিকল্পনা জানালেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) তেহরানে ইমাম খামেনি গ্রান্ড মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় তিনি পরবর্তী পরিকল্পনা জানান।‘‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড নামের যে অপারেশনের মাধ্যমে গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা হয়েছে, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সেটি ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার।”
খামেনি বলেন, আমি আমার প্রিয় এবং গর্বিত ভাই, ইসলামি বিশ্বের একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব, এই অঞ্চলের জাতির প্রতিভাবান কণ্ঠ এবং লেবাননের উজ্জ্বল রত্ন, সম্মানিত সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে আজকের জুমার নামাজে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, এই বক্তব্য ইসলামী জাতির প্রতি, বিশেষ করে প্রিয় লেবাননি ও ফিলিস্তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে। আমরা সবাই সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর শাহাদাতের ঘটনায় আহত ও শোকাহত। এটি আমাদের জন্য একটি বড় ক্ষতি, এবং আমাদের হৃদয় সত্যিকারের শোকাহত। তবে, আমাদের শোক মানে হতাশা নয়। এটি আমাদের মহাবীর হজরত হোসেইন ইবনে আলী (রা.)-এর জন্য শোকেরই অংশ।
ইরানের এ ধর্মীয় নেতা বলেন, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ শুধু লেবাননের নয়, ইরান ও আরব দেশগুলোর সীমার বাইরে জনপ্রিয় ছিলেন এবং তার শাহাদাত তার এই প্রভাবকে আরও জোরদার করবে।
তিনি বলেন, আজ, অপরাধী ইহুদি সন্ত্রাসীগোষ্ঠীও বুঝে গেছে যে তারা কখনোই হামাস ও হিজবুল্লাহর ওপর বিজয় লাভ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আপনাদের চেষ্টা দ্বিগুণ করুন, প্রতিরোধ চালিয়ে যান এবং আক্রমণকারী শত্রুকে প্রতিহত করুন, যাতে আপনার বিশ্বাস এবং আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা শক্তিশালী হয়। আমাদের শহীদ সাইয়্যেদ আজ তার জনগণ, প্রতিরোধ ফ্রন্ট এবং ইসলামি জাতির কাছে এমনই আহ্বান জানাতেন।