চবির হলে আসন বরাদ্দে বৈষম্য, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৭ বছর পর আবাসিক হলগুলোয় আসন বরাদ্দের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল।

এতে শিক্ষার্থীরা বিভাগভিত্তিক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।অনলাইনে প্রকাশিত আসন বরাদ্দের ফলাফল ঘেঁটে দেখা গেছে, কিছু কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সংখ্যক আসন বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ প্রাপ্তির সংখ্যা খুবই কম।

মূলত যেসব বিভাগের ফলাফলে তুলনামূলক বেশি সিজিপিএ ওঠে সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরাই বেশি আসন বরাদ্দ পেয়েছেন। আসন বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভাগভিত্তিক কোনো অনুপাতকে বিবেচনায় রাখা হয়নি। যার ফলে সিজিপিএর মারপ্যাঁচে যেসব বিভাগের তুলনামূলক কম ফলাফল হয় সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে এ বিভাগভিত্তিক অনুপাতকে বিবেচনায় না নিয়ে শুধু সিজিপিএকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টিকে চরম মাত্রার বৈষম্য বলে মন্তব্য করছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমরা পূর্বের বিদ্যমান নীতিমালার ভিত্তিতেই আসন বরাদ্দ দিয়েছি। সেই নীতিমালায় বিভাগভিত্তিক অনুপাতে আসন বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি নেই। নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করার মতো সময়ও আমাদের হাতে ছিল না। তাই পূর্বের নীতিমালাতেই আসন বরাদ্দ দিতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। পরেরবার আসন বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনুষদভিত্তিক পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব। এ ছাড়া বিভাগভিত্তিক অনুপাতে আসন বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়েও আমরা কাজ করব।