পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে নিজ বিভাগের ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের সকল কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষককের নাম সুব্রত কুমার বিশ্বাস। তিনি পাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ২৩ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) তদন্তের ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেয়।
তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা, রিসার্চ, ভাইভা) থেকে সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল সুব্রত কুমার বিশ্বাসের। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে বিয়ের দাবিতে বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষককে নিয়ে যদি নৈতিকতার প্রশ্ন ওঠে তাহলে এটা আসলে লজ্জাজনক। এমন শিক্ষককে ক্লাসে দেখলে বিব্রত লাগে।
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের সকল কার্যক্রম থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্যের বরাবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে তার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। বিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন-নিপীড়ন বিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ সেল রয়েছে। আমি তাদের বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি, যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই এটার উপযুক্ত বিচার হবে।