দেশের মাটিতে আর খেলে অবসর নেওয়া হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। এটা এখন প্রায় নিশ্চিত। কারণ শেষ টেস্ট খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওয়ানা হয়েও দুবাই থেকে ফিরে যেতে হয়েছে সাকিবকে। সাকিব যাতে দেশে আসতে না পারেন এবং মিরপুরে টেস্ট খেলতে না পারেন- এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে মিরপুরে। দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি বিসিবির কাছে সাকিবের বিষয়ে স্মারকলিপিও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে সাকিব যাতে দেশে এসে খেলতে পারে সেজন্য সাকিবভক্তরা আজও বিক্ষোভ করেছেন মিরপুরে। তারা সাকিবের নামে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় সাকিব আল হাসানের ভক্তদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় সাকিব ভক্তরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। সাকিব ভক্তদের ওপর কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর থেকে সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে শ’খানেক ভক্ত অবস্থান নেন মিরপুরে।
অবস্থানকালে তারা ‘তুমি কে, আমি কে, সাকিবিয়ান, সাকিবিয়ান।’ ‘কানপুর না মিরপুর, মিরপুর, মিরপুর’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, সাকিব দেশের হয়ে অনেক সম্মান বয়ে এনেছেন। তাকে তাই দেশের মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।
সাকিবভক্তরা অবস্থান নিয়ে স্টেডিয়ামের রাস্তায় বসে তাদের দাবি জানাতে থাকেন। এই সময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অবস্থান কর্মসূচি চলার একপর্যায়ে কয়েকজন লোক গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে করে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায় সাকিব ভক্তদের।
সাকিবের নারী ভক্ত মাহফুজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমাদের দাবি জানাচ্ছিলাম। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে হুট করে কয়েকজন এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা হামলাকারীদের প্রতিহত না করে উল্টো আমাদেরও ধাওয়া দিয়েছেন।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। পুরো ঘটনার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা দল মাঠের ভেতরে অনুশীলন করছিল।
ভারত সফরে কানপুর টেস্টের আগে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। তিনি জানান নিরাপত্তা দিলে শেষ টেস্টটা খেলতে চান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে। বিসিবি সভাপতি শুরুতে নিরাপত্তার আশ্বাস না দিলেও পরে সাকিবকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সাকিবকে রেখেই ঘোষিত হয় প্রথম টেস্টের দল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে রওয়ানাও দেন সাকিব। কিন্তু দুবাই আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফিরতে বারণ করা হয়।
ওইদিনই সাকিবের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেন একদল। তারা সাকিবের শাস্তিও দাবি করেন। সাকিবের দেশে ফেরা বাতিল হয়ে গেলে আবার আন্দোলনে নামেন সাকিবভক্তরা। সাকিবকে দেশে ফেরানোর দাবিতে গত দুদিন ধরে বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন তারা।