হিজবুল্লাহর ৩ কমান্ডার, ৭০ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

গত ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর তিনজন কমান্ডার এবং প্রায় ৭০ জন যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য প্রধান হাসেম সাফিয়েদ্দিনকে হত্যার তথ্য নিশ্চিতের পরের দিন এমন দাবি করল দেশটির সামরিক বাহিনী।

বুধবার (২৩ অক্টেবার) এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) হিজবুল্লাহর অবকাঠামো এবং যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সীমিত ও স্থানীয়ভাবে টার্গেট ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেনাবাহিনী স্থল ও আকাশপথে প্রায় ৭০ জন যোদ্ধাকে নির্মূল করেছে।

এ ছাড়া বুধবার দক্ষিণ লেবাননের বন্দর শহর টাইরের কয়েকটি কেন্দ্রীয় এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। শহর থেকে উত্তরের দিকে তাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে মঙ্গলবার হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাসেম সাফিয়েদ্দিনকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েল। সাফিয়েদ্দিনকে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে তিন সপ্তাহ আগে এক হামলায় হত্যা করা হয়। তবে এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হলো। এর আগে ইসরায়েলের দাবি ছিল, সাফিয়েদ্দিন সম্ভবত তাদের হামলায় মারা গেছেন।

ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, আমরা নাসরুল্লাহ, তার উত্তরসূরি ও হিজবুল্লাহর অধিকাংশ শীর্ষ নেতাদের ধরেছি। যারা ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকি দেয় তাদেরও আমরা ধরব।

হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এই দাবির বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করতেন সাফিয়েদ্দিন। তিনি জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন, যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

হাসেম সাফিয়েদ্দিন হাসান নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই এবং তার মতোই একজন ধর্মীয় নেতা। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর হিসেবে পরিচিতমূলক কালো পাগড়ি পরেন।

গত মাসে লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হলে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন নেতা নিয়ে আলোচনায় আসেন হাসেম সাফিয়েদ্দিন। হাসেম সাফিয়েদ্দিনের পারিবারিক সম্পর্ক এবং নাসরুল্লাহর সঙ্গে তার শারীরিক সাদৃশ্য ছিল। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর। এ কারণে তার ধর্মীয় মর্যাদাও ছিল। এসব বিষয় হিজবুল্লাহর হাল ধরতে তার পক্ষে সহায়ক হতে পারত।