নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করতে কর্মপরিকল্পনা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন বিভাগে কর্মচারী এবং বন্যপ্রাণী নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের কাজের গতি বাড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক মিঠা পানির ডলফিন দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সেকেলে আইন ও মানসিকতা নিয়ে কাজ করলে হবে না। ১৯২৭ সালের বন আইন দিয়ে এসময়ের বাস্তবতা মোকাবিলা সম্ভব নয়। কোন কোন জায়গার বন কাটতে বন বিভাগের অনুমতি লাগবে, সে বিষয়ে আইন করছি। সামাজিক বনায়ন নীতিমালা ও পরিবর্তন আনতে কমিটি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যে বনে যে প্রজাতির গাছ, সে প্রজাতি দিয়েই বন বাড়াতে হবে। প্রাকৃতিক বনে আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ লাগানো যাবে না। প্রটেকশন ও কনজারভেশন কী জিনিস, সেটি আত্মস্থ করে কাজ করতে হবে।

মেঘনা, পদ্মা, যমুনা ও হালদা নদীতে গবেষণা হয়েছে জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার এলাকায় এ গবেষণা করা হয়। ৬৩৬টি গ্রুপে ১৩৫২টি শুশুক পাওয়া গেছে। শুশুকের পরিমাণ বাড়াতে হবে। শুশুকের পরিমাণ বাড়া মানে নদী দূষণমুক্ত। নদী দূষণমুক্ত করতে কাজ করছে সরকার। প্রত্যেক ডিসিকে বলা হয়েছে, তার এলাকার অন্তত একটি নদী দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে কী করা যায়, তার কর্মপরিকল্পনা দিতে।