ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও লেবাননে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এক দিনে ২২০ জন নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪৩ জন। এর মধ্যে ১৩২ জনই নিহত হয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলে।
অপরদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার সারা দেশে কমপক্ষে ৭৭ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ দিন ইসরায়েলি বিমান হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে উত্তর গাজার বেইট লাহিয়ায়। সেখানে বাস্তুচ্যুত পরিবারদের আশ্রয় নেওয়ার একটি পাঁচ তলা আবাসিক ভবনে বোমা ফেলা হয়। এতে পুরো ভবনটি ধসে গেছে। ওই ভবনে থাকা শিশুসহ ৯৩ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনীও প্রবল বাধার মুখে পড়ে। সম্মুক যুদ্ধে উত্তর গাজায় চারজন ইসরায়েলি সেনা এবং দক্ষিণ লেবাননে একজন নিহত হয়েছে। এতে গত বছরের অক্টোবর থেকে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা ৭৭৭ জনে পৌঁছেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ।
এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবনধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।