বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পরেই গোটা দেশজুড়ে গোলমাল শুরু হয়ে যায়। তাদের জেরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় জমাতে শুরু করেন হিন্দুরা। কিন্তু অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলছেন একেবারে অন্য কথা।
শনিবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বাংলাদেশ থেকে কোনও হিন্দু অসমে ঢোকার চেষ্টা করছেন না। তারা সেখানেই গণ্ডগোল করছেন। শিলচরে বিশ্বশর্মা বলেন, গণ্ডগোল করে বাংলাদেশের হিন্দুরা অন্যকিছু একটা চাইছে। গত এক মাসে কোনও হিন্দুকে অসমে ঢোকার চেষ্টা করেননি বরং ৩৫ অনুপ্রবেশকারী মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজও ২ জনকে করিমগঞ্জে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে অসমে ঢুকছেন এমন রেকর্ড নেই।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় দুটি বিশাল সমাবেশ করে হিন্দু সংগঠনগুলি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আমরা সীমান্ত প্রহরা দিচ্ছি এবং যারা আসার চেষ্টা করছে তাদের ফেরত পাঠাচ্ছি। সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য যাই হোক ওইসব লোকজন বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের। তারা হিন্দু নন। কোনও হিন্দুই ভারতে আসার চেষ্টা করছেন না। হিন্দুরা একমাত্র চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের হিন্দুদের অতি রঞ্জিত সুবিধা নিয়ে সে দেশের সরকারকে প্রভাবিত করুন।
এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে হিম্নত বিশ্বশর্মা লেখেন, বদরপুর রেল স্টেশনে ২ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে অসম পুলিস। এদের একজন মাসুম খান, বাড়ি বাংলাদেশের মাধোপুরে। অন্যজন সোনিয়া আক্তার, ঢাকার বাসিন্দা। মাধোপুর আগরতলা রুট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তারা যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু।
সুত্রঃ সংকলনে এম আর আর