পার্বত্য চুক্তি ও হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল আইন বাতিলের দাবি বিশিষ্ট্যজনদের

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি

পাহাড়ে তথাকথিত শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী বাঙ্গালীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে। নানামুখি সংকটের মধ্যে চরম বৈষম্যের মধ্যেও পাহাড়ের বাঙ্গালীরা শান্তিপূর্ন সহাবস্থানে বসবাস করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট্যজনেরা।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান বৈষম্য সংকট ও সমাধানে করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে পাহাড়ের বিশিষ্ট্যজনেরা আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে পাহাড়ে নানান ভাবে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে বাঙালীদের।

পাহাড়ে বাঙালীরা সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য শিকার হয়ে আসছে। বাঙ্গালীরা এই দেশে প্রথম শ্রেনীর নাগরিক হয়েও পার্বত্য শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্যাঞ্চলের বাঙ্গালী সম্প্রদায়কে পাহাড়ে দ্বিতীয় শ্রেনির নাগরিকে পরিনত করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কতকাল পাহাড়ের বাঙালিরা নিজেদেরকে বঞ্চিত করে চলবে? এমন মন্তব্য করে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত পাঁচই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানোর পর এই আন্দোলনের ফলে সারাদেশে বৈষম্য নিরসন শুরু হলেও এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালী জনগোষ্ঠীরা।

পাহাড়ে বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণের সময় এসেছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের চলমান বৈষম্য দূরীকরণে ১৯০০ সালের বিশেষায়িত হিলট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল আইন বাতিল করে রাষ্ট্রীয় চলমান আইনে পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি পাহাড়ি-বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের সমান অধিকার নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছেন মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়া বিশিষ্ট্যজনেরা।

এতে রাঙামাটিতে চেম্বার অব কমার্স কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী।

পেয়ার আহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোখতার আহমদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা আতিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট মাসুম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুল আহাদ।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলার সাবেক সভাপতি এইচ এম সম্রাট, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির রাঙামাটি শাখার সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহ, রাঙামাটি জাতীয় ইমাম সমিতির সেক্রেটারি মাহতাব উদ্দিন, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছাদেকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

ইবাংলা বাএ

পার্বত্য চুক্তিহিল ট্র্যাক্টস