নতুন বাংলাদেশের নতুন বিপিএলকে আকর্ষণীয় করতে বিসিবি হাতে নিয়েছে নানা উদ্যোগ। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিবির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের মধ্যে আনতে পেরেছে নতুনত্ব? কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি হোস্ট নিয়োগ করে সাড়া ফেললেও যাদের নিয়ে এত আয়োজন সেই ক্রিকেটারদের দিকে কতটা তাকিয়েছে দলগুলো। বিপিএলের নিয়মই বা মানা হচ্ছে কতটা?
নতুন বিপিএলে নতুনের কেতন ওড়াতে পুরোপুরি ব্যর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। পরিবর্তিত সময়ের এই বিপিএলও শুরু হচ্ছে না জঞ্জালমুক্তভাবে। আগের দশ আসরে বিপিএলে যেমন বিতর্ক ছিল এবারের বিপিএলেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতিমধ্যে রাহাত ফতেহ আলী খানের পারিশ্রমিক ও টিকিট বিক্রি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এবার সামনে এসেছে নতুন এক খবর। বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাওনা টাকার ৫০ শতাংশ দিয়ে দেওয়ার কথা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। কিন্তু সেই আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা রেখেই শুরু হচ্ছে নতুন দিনের এই বিপিএল। জানা গেছে, বিপিএলে মাঠে নামার আগে কোনো দলই তাদের ক্রিকেটারদের পাওনা টাকার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেনি। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
শুধু ক্রিকেটারদের টাকাই নয়, জানা গেছে, বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে কেবল বরিশাল ছাড়া কোনো দলই বিসিবিকে দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা। সেই দিক থেকে বরিশাল মাঠের খেলার আগে ক্রিকেটারদের টাকা পরিশোধ না করলেও বিসিবির চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু অন্যান্য দলগুলোর ক্ষেত্রে বিসিবিকে পড়তে হতে পারে ঝামেলায়।
গত ২৩ ডিসেম্বর বিপিএল মিউজিক ফেস্টের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে বিপিএলের বাজনা। মিরপুরের পর সিলেট চট্টগ্রামেও হয়েছে মিউজিক ফেস্টের এই কনসার্ট। বিপিএলকে দর্শকপ্রিয় করতে মাঠের বাইরে আরও বেশকিছু পরিকল্পনা আছে বিসিবির কাছে। বিপিএলে দর্শকদের জন্য বিনামূল্যে পানি সরবরাহ, র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে আকর্ষণীয় সব পুরস্কার, বিপিএলকে অবশ্যই আকর্ষণীয় করবে।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, মাঠের বাইরের এত আয়োজন যাদেরকে নিয়ে, মাঠের সেই হিরোদের কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো? আর সেদিকে নজরই বা কতটা আছে বিসিবির? নতুন বিপিএল শুরুর আগে তাইতো খুব দৃঢ়ভাবে বলার সুযোগ নেই এবারের বিপিএল সত্যিই হবে আলাদা। কারণ এখনও যে উকি দিচ্ছে পুরোনো দিনের পুনরাবৃত্তির শঙ্কা।