বহুল বিতর্কিত ও নিষিদ্ধ আদিবাসী শব্দের ব্যবহার বন্ধে রাজধানীতে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে হামলা চালিয়ে ১৬ শিক্ষার্থীকে আহত করার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি নেতাকর্মীরা।
বুধবার রাতে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক হয়ে বনরূপা পেট্টোল পাম্প ঘুরে করে আলিফ মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
পিসিসিপি রাঙামাটি জেলার সহ-সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলার উপদেষ্টা মো: কামাল উদ্দিন, পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, পৌর সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে “স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি” কর্তৃক আয়োজিত শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতার নামের ব্যানার ব্যবহার করে পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)র সন্ত্রাসীরা পরিকল্পনামাফিক এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা বিনা উস্কানিতে প্রথমে হামলা করে এবারও ভিকটিম কার্ড খেলছে, এই বর্বর হামলায় ১৬ জন দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
অথচ উপজাতি সন্ত্রাসীরা সিম্পতি নেওয়ার জন্য এখন তারা আহত হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের সহযোগিতা করছে বাম সংগঠন ও বামপন্থী মিডিয়া।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা যে কোনো হামলার ঘটনায় সর্বপ্রথম তারাই ঘটায়, যখন আত্মরক্ষা করে বাঙালিরা তখন তাদের উপর হামলা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ভিকটিম কার্ড খেলে এই অভিনব কৌশলী সন্ত্রাসীরা। এতে করে প্রতিবারই দেশের মানুষের চোখে ধুলা দেয় উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি জেলা শাখা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানচ্ছে এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি আহত দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।