জাতিসংঘের পরমাণু তদারকি বিষয়ক সংস্থা- আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি ইরানের বিরুদ্ধে আরেক ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটির নতুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এ বিষয়টিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি আগস্ট মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সেপ্টেম্বর মাসে গ্রোসি তেহরান সফর করেন এবং ওই সফরে তিনি ইরানের কোনো কোনো পরমাণু স্থাপনায় নজরদারি করার অনুমতি লাভ করেন। সেইসঙ্গে তিনি তেহরানে ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট রায়িসি সরকারের সঙ্গে তার সংস্থার সংলাপ অব্যাহত থাকবে। অথচ এখন রাফায়েল গ্রোসি বলছেন, রায়িসি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে গ্রোসি এমন সময় এ দাবি করলেন যখন পাঁচ জাতিগোষ্ঠী ও ইরান আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান পরমাণু আলোচক আলী বাকেরি-কানি এ বিষয়ে আলোচনা করতে গত কয়েক দিন ধরে প্যারিস, বার্লিন ও লন্ডন সফর করেন।এছাড়া, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান গত সপ্তাহে চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: প্রায় নয় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত
২০১৫ সালে আমেরিকাসহ ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরান পরমাণু সমঝোতা সই করে। কিন্তু ২০১৮ সালে আমেরিকা এই সমঝোতা থেকে বেআইনিভাবে বেরিয়ে যায় এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ফলে পরমাণু সমঝোতা নিয়ে মারাত্মক অচলাবস্থা দেখা দেয় যার অবসানের জন্য ২৯ নভেম্বর থেকে ভিয়েনায় আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।
ইবাংলা/ নাঈম/ ১৩ নভেম্বর, ২০২১