সমালোচনার কারণে সাইবার বুলিং-সংক্রান্ত বিধান বাদ, খসড়া অনুমোদন

ইবাংলা ডেস্ক

সমালোচনার কারণে প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অনুমোদিত খসড়ায় সাইবার বুলিং-সংক্রান্ত বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর আইসিটি বিভাগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন…যুক্তরাষ্ট্র-ভারতসহ ৪ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে অধ্যাদেশটির খসড়া হয়। এরপর টিআইবি, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের পর্যবেক্ষণের ফলে পুনরায় অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা হয় এবং পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সচিব জানান, আবারও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে উপদেষ্টা পরিষদে। তবে এর আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা হবে এবং ওয়েবসাইটে মতামতের জন্য ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।

অধ্যাদেশটি দ্বারা যেন মানুষ নিগ্রহের শিকার না হয় এবং নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে চেষ্টা করা হয়েছে। সচিব মনে করেন, অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত হতে অন্তত ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে।

আইসিটি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘জনপরিসরে সমালোচনার কারণে সাইবার বুলিং থেকে আমরা সরে এসেছি।’তিনি আরও বলেন, খসড়া নিয়ে গণমাধ্যমে যত সমালোচনা, পর্যবেক্ষণ ও মতামত এসেছে তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ঠিক না থাকলে ও সভ্য সংস্কৃতি না থাকলে যেকোনো আইনেরই অপব্যবহার সম্ভব। এ আইন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দেবে, বর্তমান সরকার নিবর্তনমূলক কোনো আইন চায় না।

ফয়েজ আহমদ জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ৯টি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে ওই ধারাগুলোর অধীন থাকা মামলাগুলোও বাতিল হয়ে যাবে। ফলে ৯০-৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ হয়ে যাবে।

প্রেস ব্রিফিং সাধারণত সরকারের কর্মকর্তারা, আইটি বিশেষজ্ঞরা, সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এবং মিডিয়ার সাথে আলোচনা করে, যাতে সাইবার সুরক্ষা সম্পর্কিত নতুন আইনটি সঠিকভাবে জানানো এবং কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়।

ইবাংলা বাএ

অনুমোদনখসড়ায়