এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান ছুটছিল উড়ন্ত গতিতে। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে এখন তারা ফাইনালের প্রস্তুতি নিত। কিন্তু বিশ্বকাপে বাবর আজমদের অভিযান শেষ হয়ে গেছে সেমিফাইনালেই।
দুবাইয়ে অজিদের বিপক্ষে হারের পর আর দেশে ফেরত যায়নি পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। এখন তাদের সামনে কেবল একটাই ভাবনা—মিরপুরে ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টাইগারদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ।
আরও পড়ুন : একনজরে বাংলাদেশের ভরাডুবির বিশ্বকাপ
তাই পাকিস্তান দল আর দেরি না করে পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ সফরের জন্য ঢাকায় এসে পৌঁছেছে সেমিফাইনালে হারের ঠিক ৩২ ঘণ্টা পরই।
১১ নভেম্বর অজিদের কাছে সেমিফাইনালে হেরেছেন বাবর আজমরা। ১২ তারিখ দিনটায় পাকিস্তান দল বিশ্রাম নিয়েছে। তবে ১৩ নভেম্বর রাতেই বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে দলটি। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলতে আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ঢাকায় পা রাখে দলটি।
এদিন সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বাংলাদেশে আসে দলটি। কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে সবশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এসেছিল পাকিস্তান। সেবার ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হারের বিস্বাদ নেয় দলটি। এরপর দুই টেস্টের সিরিজে অবশ্য ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : নেটিজেনদের ঘুম কেড়েছেন এই গলফার
করোনাকালে আয়োজিত হলেও এই সিরিজে কোনো প্রকারের কোয়ারেন্টিন জটিলতায় পড়তে হচ্ছে না বাবর আজমদের। শনিবার বাংলাদেশে পা রেখে আগামীকাল রোববারই অনুশীলনে নেমে পড়বে চলমান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা। তবে এক্ষেত্রে শর্ত অবশ্য আছে একটা। অনুশীলনে নামার আগে আজ শনিবার পুরো দলকে যেতে হবে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। সেখানে নেগেটিভ এলে তবেই মিলবে অনুশীলনে নামার ছাড়পত্র।
ইবাংলা/এএমখান/১৩ নভেম্বর, ২০২১