রাজধানীর বায়ুদূষণ বাড়ছেই

ইবাংলা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে দিনদিনই বাতাস দূষিত হচ্ছে। এর প্রভাবে বাড়ছে নানা রোগব্যাধি। এর মধ্যে ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। ঢাকার বায়ুদূষণের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা জানিয়ে সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিলেও ক্রমেই নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে বায়ুদূষণে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, শীতে বৃষ্টি না থাকায় দূষণ বাড়ছে তবে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। বিশ্বে প্রতিবছরই বায়ুদূষণের তালিকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকে ঢাকা। এবারও শীতের শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিকুল নেওয়াজ কবির বলেন, শীতকালে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কারণে বাতাসের মধ্যে ধূলিকণা ভেসে বেড়ায় এবং ধোঁয়ার পরিমাণটা বেশি থাকে।

এ কারণে এ সময়ে বায়ুমানটা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি খারাপ থাকে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বাড়াতে হবে সচেতনা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সাত বছরে পরিবেশ দূষণ মাত্রায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেখানে বায়ুদূষণ মাত্রার বার্ষিক গড় মান ৩৫ এর কাছাকাছি থাকার কথা; সেখানে প্রতিবছরই ঢাকায় এ মান থাকে ৮০ এর ওপরে।

গত বছর ঢাকায় এ দূষণের মান ছিল ৮৩.৯। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতে পূর্বের বছরগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা ২০২৪ থেকে ২০৩০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইটভাটা বন্ধসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মোতালিব বলেন, শীতকালে বায়ুদূষণের মাত্রাটা বেশি থাকে। এর কারণ হলো কোনো কিছু পোড়ানো। এই সময়ে ইটভাটা বেশি চলে, ফলে পোড়ানো ধোঁয়া বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।

ইবাংলা বাএ

বাড়ছেইবায়ুদূষণ