প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, তা নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত দলটির নিবন্ধন থাকে কিনা।
এছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দেওয়া অনেক সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।রোববার নির্বাচন ভবনে আরএফইডি টক-এ সিইসি এসব কথা বলেন।
টানা প্রায় ৪ মাসের কর্মযজ্ঞে ১৮টি এরিয়া ধরে ১৫০টি সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি করার ক্ষমতা সংসদীয় কমিটির কাছে ন্যস্ত করা, সীমানা পুনঃনির্ধারণে আলাদা স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠন করা এবং স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে ভোটার তালিকা প্রণয়ন। এসব প্রস্তবনার বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুললেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এ বিষয়ে ইসি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন দায়িত্ব পালনের পরিপন্থি। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হলে অক্টোবরে প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়, সেটা কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইসির নয়, বরং সরকারের বিষয়- মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে এক বছরের মতো সময় লাগবে। যদি এসব নির্বাচন করতে হয়, তাহলে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তা নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত দলটির নিবন্ধন থাকে কিনা তার ওপর।